মারকাযুল কুরআন মুহাম্মদপুর-Markazul Quran Muhammadpur

দৈনন্দিন মাসাইল

ফজরের পরে বেলা উঠা আরম্ভ হওয়ার পরে কতক্ষণ বা কত মিনিট নামায পড়া নিষেধ? প্রচলিত ক্যালেন্ডারে যে ২৩ মিনিট বিলম্ব করার কথা লেখা থাকে তার ভিত্তি কি?

ফজরের পরে সূর্য উঠা আরম্ভ হওয়ার পর থেকে এক তীর পরিমাণ (যার পরিমাণ নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী ৯ মিনিট) নামায পড়া নিষেধ। তবে প্রচলিত ক্যালেন্ডারে সতর্কতার জন্য কিছু বেশী বিলম্বের কথা লিখা হয়েছে। হযরত মাওলানা আবরারুল হক সাহেব হারদুয়ী রহ. ১৫ মিনিট বিলম্বের কথা বলে থাকেন। আমলের জন্য এটাই উত্তম। [প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া, ২:১৪১ # ফাতাওয়া মাহমূদিয়া, ২:২৩৮ # শামী, ১:৩৬৬-৭১]

কোন ব্যক্তি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তি বা অবমাননা মুলক কথা বলে, তবে তার জন্য শরীয়তের বিধান কি?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে যদি কোন লোক কটূক্তি বা অবমাননাকর কোন কথা বলে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে এবং বিবাহিত হলে তার বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে। তাকে নতুন ভাবে কালিমা পড়ে তাওবা পড়তে হবে এবং বিবাহ পড়াতে হবে। গ্রামের চেয়ারম্যানমেম্বারমাতব্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলে জন সম্মুখে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারে। [প্রমাণঃ দুররে মুখতার ৪:২৩১ফাতাওয়া দারুল উলূম ১২:৩৬২ ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ১৪:৫৩]

কারো নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত নগদ ক্যাশ না থাকলেও কি হজ্জ ফরয হতে পারে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করেবেন।

হ্যাঁ, প্রয়োজন হতে অতিরিক্ত নগদ ক্যাশ না থাকলেও কোন ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হতে পারে। যেমন কোন ব্যক্তির নিকট অতিরিক্ত জমি-জমা, প্লট ও ব্যবসার সামগ্রী ইত্যাদি রয়েছে, তা হতে কিছু বিক্রি করলে হজ্জের খরচ হয়ে যায় এরং অবশিষ্ট দ্বারা উক্ত ব্যক্তি ফিরে আসা পর্যন্ত নিজ পরিবার-পরিজনের প্রয়োজনীয় হাজত পূর্ণ হয়ে যায়। তাহলে এমন সব ব্যক্তিবর্গের উপর উক্ত সম্পদ বিক্রি করে হজ্জ করা ফরয। সুতরাং নগদ ক্যাশ হাতে না থাকলেও হজ্জ ফরয হতে পারে। (প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া ৪:৫৩২ #মু‘আল্লিমুল হজ্জাজ ৮১)

আমাদের দেশে অনেক ধনী লোকেরা পরে আকীকা করে। আমরা জানি জন্মের সাত দিন পরে আকীকা করতে হয়। এ ব্যাপারে শরীয়তের বিদান কি?

আকীকা করা ফরয বা ওয়াজিব নয়, বরং সুন্নাত। জন্মের সপ্তম দিনে নাম রাখা ও আকীকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে কারো আকীকা না হয়ে থাকলে তার  অভিভাবক গণ পরেও যে কোন সময় আকীকা করতে পারবেন। এমন কি সে ব্যক্তি যদি বড় হয়ে নিজে নিজের আকীকা আদায় করেত চায়, তাও করতে পারে। স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের আকীকা নিজেই করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। আকীকার চামড়ার টাকা গরীবদেরকে দান করা জরুরী।[প্রমাণঃ ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ১৪:৩২৬]

Scroll to Top